সন্ধি ও সমাসের মধ্যে সাদৃশ্য( মিল):
- সন্ধি ও সমাস উভয়ই ভাষায় সংক্ষিপ্ততা নিয়ে আসে এবং ভাষার শ্রুতিমাধুর্য রক্ষা করে।
- সন্ধি ও সমাস, উভয় ক্ষেত্রেই নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয়।
- সন্ধি ও সমাস, উভয় ক্ষেত্রেই বাক্যের পদসংখ্যা কমে যায়।
- সন্ধি ও সমাস, উভয় ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো ভাবে একাধিক পদের মিলন ঘটে।
- সন্ধি ও সমাস উভয়ই নির্দিষ্ট নিয়ম বা সূত্র মেনে চলে।
সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য (অমিল/বৈসাদৃশ্য):
সন্ধি | সমাস |
ক) সন্ধি ধ্বনিতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। শব্দের মধ্যে ধ্বনিমাধুর্য সৃষ্টি করে। | ক) সমাস বাক্যতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। এটি বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে। |
খ) সন্ধিতে বিভক্তি লোপ পায় না। | খ) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিভক্তি লোপ পায়। |
গ) সন্ধিতে বর্ণের সাথে বর্ণের মিলন হয়। | গ) সমাসে পদের সাথে পদের মিলন হয়। |
ঘ) সন্ধিতে উচ্চারণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। | ঘ) সমাসে অর্থের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। |
ঙ) সন্ধিতে দুই বর্ণের মধ্যে যোগ চিহ্ন (+) ব্যবহার করতে হয়। | ঙ) সমাসে দুই পদের মধ্যে অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়। |
চ) সন্ধিতে অর্থের পরিবর্তন ঘটে না। | চ) অর্থের পরিবর্তন ঘটতে পারে। |