দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে?
যে সমাসের সমস্যমান পদ দুটি একটি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং প্রত্যেক পদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্ধ সমাস বলে। যেমন- হাটে ও বাজারে = হাটেবাজারে।
দ্বন্দ্ব সমাসের বৈশিষ্ট্যঃ
• দ্বন্দ্ব কথাটির আভিধানিক অর্থ মিলন, প্রচলিত অর্থ কলহ বা বিবাদ এবং ব্যকরণসন্মত অর্থ হল যুগ্ম বা জোড়া।
• দ্বন্দ্ব শব্দের বুৎপত্তি হল দ্বি + দ্বি
• উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে।
• উভয় পদে একই বিভক্তি থাকে।
• ব্যাস বাক্যে ও/এবং/ আর থাকে।
• অধিক মর্যাদাপূর্ণ শব্দটি আগে বসে।
দ্বন্দ্ব সমাস কয় প্রকার ও কি কি?
দ্বন্দ্ব সমাসকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়-
১। সমার্থক দ্বন্দ্ব: পদগুলো বস্তুবাচক হয় এবং ক্ষমতার সম্পর্ক থাকে।
কাজ ও কর্ম= কাজ-কর্ম, হাট-বাজার, ঘর-দুয়ার, কল-কারখানা, খাতা-পত্র
২। বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: পদগুলো বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে।
দিন ও রাত= দিন-রাত, জমা-খরচ, ছোট-বড়, ছেলে-বুড়ো, লাভ-লোকসান
৩। বিকল্পর্থক দ্বন্দ্ব: পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ বিকল্প হিসাবে গণ্য হয়।
হার অথবা জিৎ= হার-জিৎ, কম-বেশি, সাত-পাঁচ, উনিশ-কুড়ি
৪। সমাহার দ্বন্দ্ব: দুধ ও কলা= দুধ-কলা,
৫। মিলনার্থক দ্বন্দ্ব: চাল ও ডাল= চাল-ডাল, মা-বাপ, মাসি-পিসি, জ্বিন-পরি, চা-বিস্কুট
৬। অলোপ দ্বন্দ্ব: কাগজে ও কলমে= কাগজে-কলমে, দেশে-বিদেশে, কোলে-পিঠে, হাতে-কলমে, পথে-ঘাটে।
৭। বহুপদী দ্বন্দ্ব: রূপ, রস, গন্ধ ও স্পর্শ= রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ, স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল,
৮। একশেষ দ্বন্দ্ব: সমস্ত পদটি একক হিসাবে বসে এবং সবসময়ই বহুবচন হয়।
সে ও তুমি= তোমরা