১। তপনের গল্প পড়ে ছােটোমাসি কী বলেছিল? (মাধ্যমিক ২০১৭)
উত্তরঃ তপনের গল্প পড়ে ছোটোমাসি প্রশংসা করেছিল এবং সে গল্পখানা কারো নকল করে লিখেছে কি না জিজ্ঞাসা করেছিল।
২। তপন তার লেখার কথা সর্বাগ্রে কাকে জানিয়েছিল?
উত্তরঃ তপন তার লেখার কথা সর্বাগ্রে তার ছোটোমাসিকে জানিয়েছিল।
৩। “ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে”- কোন কথাটা?
উত্তরঃ কারেকশনের কথাটা।
৪। “এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের” — কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ?
উত্তরঃ একজন লেখকও যে সাধারণ মানুষের মতো হতে পারে, তাদের আচরণও যে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই হয়ে থাকে, সেই বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল।
৫। বুকের রক্ত কেন ছলকে ওঠে তপনের?
উত্তরঃ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প ছাপার সম্ভাবনায় বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।
৬। ‘মেসাের উপযুক্ত কাজ হবে সেটা’ – কোন কাজের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটা কোনো পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৭। “একটু ‘কারেকশন’ করে ইয়ে করে দিলে ছাপাতে দেওয়া চলে ।” — কে কী ছাপানোর কথা বলেছেন ? (মাধ্যমিক-২০১৮)
উত্তরঃ তপনের নতুন মেসোমশাই, যিনি একজন অধ্যাপক ও লেখক, তিনি ‘প্রথমদিন’ নামে তপনের লেখা প্রথম গল্পটি ছাপানোর কথা বলেছেন।
৮। “এ কার লেখা?” – এমন প্রশ্নের কারণ কি?
উত্তরঃ তপনের লেখা ‘প্রথম দিন’ গল্পটি কারেকশন করতে গিয়ে নতুন মেসোমশাই গল্পের আগাগোড়া পাল্টে ফেলেছিলেন এবং গল্পের প্রতিটি লাইন তপনের কাছেই আনকোরা মনে হয়েছিল। তাই এমন প্রশ্ন করা হয়েছে।
৯। তপনের লেখা গল্পটির নাম কি?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটির নাম ‘প্রথম দিন’।
১০। “সূচীপত্রেও নাম রয়েছে”— সূচীপত্রে কী লেখা ছিল ?
উত্তরঃ সূচীপত্রে লেখা ছিল ‘প্রথম দিন’ (গল্প) শ্রী তপন কুমার রায়।
১১। “তবে বিয়ে হয়ে ছোটোমাসি যেন একটু মুরুব্বি মুরুব্বি হয়ে গেছে”- ‘মুরুব্বি মুরুব্বি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ ছোটোমাসি তপনের লেখা গল্পটা সম্পূর্ণ না পড়েই একটু চোখ বুলিয়েই পিঠ চাপড়ানো সুরে বলেছিল যে গল্পটা ভালো হয়েছে। তাই ‘মুরুব্বি মুরুব্বি ‘ অর্থাৎ মাসি অভিভাবক হয়ে গেছে বোঝানো হয়েছে।
১২। “ছোটোমাসিকেই বলে বসে।” – বক্তা ছোটোমাসিকে কী বলেছিল?
উত্তরঃ বক্তা তপন ছোটোমাসিকে বলেছিল যে সে সত্যি করেই একটা হুবহু গল্প লিখে ফেলেছে।
১৩। “তিনি নাকি বই লেখেন” কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ ছোটগল্পে তপনের নতুন ছোটো মেসোমশাইয়ের কথা বলা হয়েছে।
১৪। “যেন নেশায় পেয়েছে”— কোন নেশার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ তপনের লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।
১৫। কী উপলক্ষে তপন মামার বাড়িতে এসেছে?
উত্তরঃ আপন মামার বাড়ীতে বিয়ে উপলক্ষে এসেছে।
১৬। কোনটিকে মেসোর “উপযুক্ত কাজ” বলে ছোটোমাসি মনে করে?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পটা তার লেখক মেসোমশাই ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপার ব্যবস্থা করে দিলে সেটাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে ছোটোমাসি মনে করে।
১৭। বিকেলের চায়ের টেবিলে কোন কথাটা উঠেছিল?
উত্তরঃ তপনের গল্প লেখা আর মেসোমশাইয়ের তা ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথাই বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল।
১৮। সমবয়সী ছেলেদের সঙ্গে তপনের অমিল কোথায়?
উত্তরঃ তপনের সমবয়সী ছেলেরা সাধারণত রাজা- রাণী, খুন-জখম, এক্সিডেন্ট অথবা না খেতে পেয়ে মারা যাওয়া – এই সব বিষয়ে লেখে। কিন্তু তপন লিখেছিল প্রথম দিনে তার স্কুলে ভর্তির অভিজ্ঞতা। এই গল্প লেখার বিষয় নির্বাচনে তপনের সাথে তার সমবয়সী ছেলেদের অমিল রয়েছে।
১৯। নতুন মেসো কে দেখে তপনের কি মনে হয়েছিল?
উত্তরঃ নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেলে তপনের। সে বুঝতে পারল তার লেখক মেসো তার বাবা, ছোটো মামা বা মেজোকাকুর মতোই মানুষ।
২০। কোন কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক- একথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল।
২১। “মেসােকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”- কেন এমন উক্তি?
উত্তরঃ তপনের ধারণা ছিল যে লেখকরা অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু তার লেখক-মেসোকে দেখে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল।
২২। “দুপুরবেলা সবাই যখন নিথর নিথর” -তখন তপন কী করছিল?
উত্তরঃ তপন আস্তে আস্তে একটি খাতা আর কলম নিয়ে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গিয়ে গল্প লিখতে শুরু করেছিল।
২৩। “এমন সময় ঘটল সেই ঘটনা।” – কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল এবং মেসোর হাতে ছিল ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা। এই ঘটনার কথাই বলা হয়েছে।
২৪। তপনের লেখা গল্পের বিষয় কী ছিল?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্পের বিষয় ছিল বিদ্যালয়ে তার ভর্তির দিনের অভিজ্ঞতা।
২৫। “পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?” – কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প মুদ্রিত হয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে- এই ঘটনাকেই অলৌকিক ঘটনা বলা হয়েছে।
২৬। গল্প ছাপার পর যে আহ্লাদ হওয়ার কথা তা তপনের হয়নি কেন?
উত্তরঃ কারণ, তপনের লেখা ছাপানোর পুরো কৃতিত্বটা তার মেসোকে দেওয়া হচ্ছিল।
২৭। “বাবা, তাের পেটে পেটে এত!” – কেন এই উক্তি?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প ‘প্রথম দিন’ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। এজন্য তপনের মা তার সন্তানের প্রশংসা করে এই কথা বলেছিল।
২৮। “গভীরভাবে সংকল্প করে তপন।” – কী সংকল্প তপন করেছিল?
উত্তরঃ তপন সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনো সে তার লেখা ছাপতে দেয় তাহলে সে নিজে গিয়ে দেবে।
২৯। প্রথম গল্পটি লেখার পর তপন তার বাড়িতে কী কী নতুন নাম পেয়েছিল?
উত্তরঃ কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী।
৩০। “রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”- একথা কেন বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের নতুন মেসো একজন লেখক, তাই তপনের লেখার প্রকৃত মূল্য তিনিই বুঝবেন। তাই একথা বলা হয়েছে।
৩১। “অনেক বই ছাপা হয়েছে” — কার অনেক বই ছাপা হয়েছে ?
উত্তরঃ তপনের নতুন ছোটোমেসোর অনেক বই ছাপা হয়েছে।
৩২। তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো কী বলেছিলেন ?
উত্তরঃ তপনের লেখা গল্প দেখে তার ছোটোমেসো বলেছিলেন যে গল্পটা ভালোই হয়েছে । তবে একটু সংশোধন করে নিলেই লেখা ছাপতে দেওয়া যাবে।
৩৩। “এটা খুব ভালো।” —বক্তার এ কথা বলার কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ তপন তার ভর্তি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে ‘প্রথম দিন’ গল্পটি লিখেছিল বলে প্রশংসা করতে গিয়ে তপনের মেসোমশাই এই মন্তব্যটি করেছিলেন।
৩৪। তপনের মেসোমশাই পেশায় কী ছিলেন?
উত্তরঃ তপনের মেসোমশাই পেশায় একজন কলেজের প্রফেসর।
৩৫। ” সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়।” এই শোরগোলের কারণ কি ছিল?
উত্তরঃ সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যাওয়ার কারণ তপনের লেখা গল্পটা সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে।