১। শ্রীপান্থ কোন্ সাহিত্যিকের ছদ্মনাম?
উত্তরঃ শ্রীপান্থ হল নিখিল সরকারের ছদ্মনাম।
২। পাঠ্য’ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি কোন
গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনাটি নিখিল
সরকার রচিত ‘কালি আছে কাগজ নেই, কলম আছে
মন নেই’ গ্রন্থের অন্তর্গত।
৩। “লেখে তিন জন।” – এই ‘তিন জন’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় ব্যবহৃত উদ্ধৃতাংশে তিন জন বলতে কালি, কলম এবং মনকে বোঝানো হয়েছে।
৪। ‘মনে মনে সেই ফরাসি কবির মতো বলেছি।’ ফরাসি কবি কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ ফরাসি কবি বলেছিলেন— ‘তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসী, আমি ভীরু। তবু যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তা – ই হোক। ধরে নাও আমি মৃত।
৫। ‘সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু। -কোন্ আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে।
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যে ‘কঙ্কাবতী’ ও ‘ডমরুধর’-
এর স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের হাতের
কলমে অসাবধানতাবশত বুকে বিঁধে মারা যান। সেই
ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
৬। ‘দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে’- প্রবন্ধে কত
রকমের দোয়াতের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কমল ‘প্রবন্ধে লেখক মাটির, কাচের, কাট – গ্লাসের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্জের ভেড়ার শিংয়ের ও সোনার তৈরি দোয়াতের কথা বলেছেন।
৭। লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস এবং সবাই সেখানে কী?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম ‘রচনায় লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন সেটা লেখালেখির অফিস এবং সেখানে সবাই লেখক।
৮। লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে
কী থাকে?
উত্তরঃ লেখকের অফিসে লেখক ছাড়া সকলের সামনে
চৌকো আয়নার মতো একটা কাচের স্ক্রিন বা পরদা অর্থাৎ কম্পিউটার থাকে।
৯। “লেখকরা অনবরত তা দিয়ে লিখে চলেছেন।” ‘তা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে ‘তা’ বলতে ছাপা হরফ-সহ
কম্পিউটারের কি-বোর্ডকে বোঝানো হয়েছে।
১০। লেখক একদিন অফিসে কলম নিয়ে যেতে ভুলে
গেলে ‘তবেই বিপদ’ কেন বলেছেন?
উত্তরঃ এক্ষেত্রে বিপদ হল লেখক ছাড়া তাঁর অফিসে কেউ লেখার কাজে কলম ব্যবহার করেন না। এমনকি
কারও কাছে কলম পাওয়া গেলেও সেই ভোতা মুখের
কলমে লিখে লেখক সুখ পান না।
১১। ‘দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো
কাজ সারতে হয়।’ ‘দায়সারা’ কথাটি ব্যবহার
করেছেন কেন?
উত্তরঃ অফিসে লেখকই একমাত্র কলম ব্যবহার করতেন। তাই কোনোদিন অফিসে কলম নিয়ে যেতে ভুলে গেলে কারও ভোতা মুখের কলমেই অগত্যা কাজ চালাতে হত তাকে।
১২। “বাংলায় একটা কথা চালু ছিল।” – কোন্
কথা চালু ছিল?
উত্তরঃ বাংলায় চালু কথাটি ছিল—“ কালি নেই, কলম
নেই, বলে আমি মুনশি।”
১৩। “কালগুণে বুঝিবা আজ আমরাও তা-ই।” ‘আমরাও তা – ই’ বলতে লেখক কী বলেছেন?
উত্তরঃ বাংলার এক প্রচলিত প্রবাদ ছিল ‘কালি নেই,
কলম নেই, বলে আমি মুনশি’। কম্পিউটারের বহুল
ব্যবহারের ফলে কালি ও কলম ছাড়া এখন সবাই মুনশি বা লেখক হয়ে উঠেছেন।
১৪। “বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন” -বড়োরা কী
শিখিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ছোটোবেলায় কলম তৈরি করার সময় বড়োরা
শিখিয়েছিলেন বাঁশের কঞ্চির ছুঁচোলো মুখটা চিরে দিতে,
তবেই কালি একসঙ্গে না গড়িয়ে ধীরে ধীরে পড়বে।
১৫। লেখকদের শৈশবে লেখার পাতা কেমন ছিল?
উত্তরঃ শৈশবে লেখকদের লেখার পাতা বলতে ছিল
কলাপাতা। এটিকে কাগজের মতো ব্যবহার করে তাতে
লেখক ও তার সহপাঠীরা হোমটাস্ক করতেন।
১৬। কলাপাতায় হোমটাস্ক করার পর সেগুলি নিয়ে
শৈশবে লেখকরা কী করতেন?
উত্তরঃ লেখকরা কলাপাতায় হোমটাস্ক করে সেগুলি
বান্ডিল বেঁধে স্কুলে নিয়ে গিয়ে মাস্টারমশাইকে দেখাতেন। মাস্টারমশাই সেগুলো দেখার পর আড়াআড়িভাবে ছিঁড়ে ফেরত দিলে তারা সেটা পুকুরে ফেলে দিতেন।
১৭। “গোরুকে অক্ষর খাওয়ানোও নাকি পাপ।” – তাই লেখকরা শৈশবে কী করতেন?
উত্তরঃ শৈশবে লেখকরা মাস্টারমশাইয়ের ফেরত দেওয়া ছেঁড়াখোঁড়া কলাপাতার টুকরোগুলি পুকুরে ফেলে দিতেন। কারণ সেযুগে মনে করা হত ওগুলো গোরুতে খেয়ে নিলে অমঙ্গল হবে।
১৮। কালি তৈরির উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে প্রচলিত
প্রবাদটি লেখো।
উত্তরঃ কালি তৈরির বিষয়ে প্রচলিত প্রবাদটি হল – “তিল ত্রিফলা সিমুল ছালা / ছাপ দুগ্ধে করি মেলা /
লৌহপাত্রে লোহায় ঘসি / ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।”
১৯। ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে?
উত্তরঃ ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস
অ্যাডসন ওয়াটারম্যান।
২০। ‘নামটা রবীন্দ্রনাথের দেওয়াও হতে পারে।- ‘রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নামটি কী?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ফাউন্টেন পেনের নামটি হল ঝরনা কলম।
২১। দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
উত্তরঃ শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই দুজন সাহিত্যিক, যাঁদের
নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
২২। লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি
করতেন?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে লেখকেরা রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করতেন। আর কলম শুধু ছুঁচোলো হত না, তার মুখটাও চিরে দিতে হত।
২৩। “আমাদের ছিল সহজ কালি তৈরি পদ্ধতি।”
সহজ পদ্ধতিটি কী ছিল ?
উঃ কাঠের উনুনে ব্যবহার করা কড়াইয়ের নীচে জমে থাকা কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে তুলে, একটা পাথরের বাটিতে জলে গুলে নিয়ে শৈশবে লেখকরা নিজেরাই কালি তৈরি করতেন।
২৪। ”বলতে গেলে তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।” – কী কী নিয়ে প্রথম লেখালেখি ছিল?
উঃ বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি এবং লেখার জন্য কলাপাতা – এগুলি নিয়েই শৈশবে লেখকের প্রথম লেখালেখি ছিল।
২৫। ‘আমি যদি বাঙালি না হয়ে হতাম প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান’- তাহলে তিনি কী করতেন?
উত্তরঃ লেখক যদি বাঙালি না হয়ে প্রাচীন সুমেরিয়ান বা ফিনিসিয়ান হতেন, তবে হয়তো তিনি নীল নদের তীর থেকে একটা নল-খাগড়া ভেঙে নিয়ে এসে সেটিকে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে লিখতেন।
২৬। লেখক স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হলে কী করতেন?
উত্তরঃ লেখক স্বয়ং জুলিয়াস সিজার হলে লেখনি
হিসাবে ব্যবহার করতেন একটি ব্রোঞ্জের শলাকা, যার পোশাকি নাম স্টাইলাস।
২৭। লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি লেখা দেখে কী বলতেন?
উত্তরঃ লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি লেখা দেখে বলতেন ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’।
২৮। ‘একজন বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন’ – কী লিখেছিলেন?
উত্তরঃ বিদেশি সাংবাদিক লিখেছিলেন কলকাতার চৌরঙ্গীর পথে গিজগিজ করছে ফেরিওয়ালা যাদের এক-তৃতীয়াংশের পেশা কলম বিক্রি।
২৯। ‘কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।’ – কার কাছে?
উত্তরঃ পকেটমারদের কাছে কলম আজ অস্পৃশ্য।
৩০। খাগের কলমের ব্যবহার এখন কোন সময়ে দেখা যায় ?
উত্তরঃ খাগের কলমের ব্যবহার এখন সরস্বতী পুজোর সময় দেখা যায়।
৩১। পালকের কলমের ইংরেজি নাম কী ?
উত্তরঃ পালকের কলমের ইংরেজি নাম হল কুইল।
৩২। পালকের কলম বর্তমানে দেখার জন্য কীসের
ওপর নির্ভর করতে হয় ?
অথবা, ‘কুইল’ এখন কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পালকের কলম বা ‘কুইল’ বর্তমানে দেখার জন্য পুরোনো দিনের তৈলচিত্র বা ফোটোগ্রাফের ওপর নির্ভর করতে হয়।
৩৩। এমন দুটি চিত্রের উল্লেখ করো যাতে পালকের কলম দেখা যায়।
উত্তরঃ উইলিয়াম জোন্সের ও স – মুনশি কেরি সাহেবের চিত্র দুটিতে পালকের কলম দেখা যায়।
৩৪। ‘আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে’- কেন?
উত্তরঃ তিনি অর্থাৎ লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান কালির সন্ধানে ছুটলেন কারণ তার চুক্তিপত্র লেখা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই তার কালির দোয়াত উপুড় হয়ে গিয়ে সব কালি পড়ে গিয়েছিল।
৩৫। আদিতে ফাউন্টেন পেনের কী নাম ছিল?
উত্তরঃ আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল রিজার্ভার পেন।
৩৬। কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য কী করা হত?
উত্তরঃ কলমকে দামি ও পোক্ত করার জন্য প্লাটিনাম, সোনা ইত্যাদি দিয়ে মুড়ে দেওয়া হতো।
৩৭। ‘সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমত ছোটোখাটো একটা অনুষ্ঠান।’ – এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তরঃ আগেকার দিনে লেখার জন্য অনেকগুলি
উপকরণ সঙ্গে নিয়ে বসতে হত। লেখার পত্র, কলম,
দোয়াতভর্তি কালি এবং লেখা শুকানোর জন্য বালি বা ব্লটিং পেপার। এজন্য এমন মন্তব্য করা হয়েছে।
৩৮। বিভিন্নরকম দোয়াতের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বিভিন্ন রকম দোয়াতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- কাচের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার সিংয়ের এবং সোনার দোয়াত।
৩৯। পালক কেটে কলম তৈরি করার জন্য সাহেবরা কী করেছিলেন?
উত্তরঃ পালক কেটে কলম তৈরি করার জন্য সাহেবরা পেনসিল শার্পনারের মতো এক ধরনের যন্ত্র তৈরি
করেছিলেন। কলম বানানোর জন্য তাতে ব্লেড ছিল।
৪০। “কিন্তু সে সব ফাঁকি মাত্র।” -এই উত্তির তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ পালক কলম এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বল পেন সাজানো থাকে, যাকে লেখক বলেছেন ‘ফাঁকি মাত্র’।
৪১। ‘দার্শনিক তাকেই বলি’— কাকে প্রাবন্ধিক দার্শনিক বলেন?
উত্তরঃ প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে যিনি কানে কলম খুঁজে রেখে সারাদুনিয়ায় কলম খুঁজে বেড়ান, তাকেই দার্শনিক আখ্যা দিয়েছেন।
৪২। ‘দু’একটা পাশ দিতে পারলেই বুড়ো বুড়িরা আশীর্বাদ করতেন।’— কী বলে আশীর্বাদ করতেন?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে দু – একটা পাস দিতে পারলেই বুড়োবুড়িরা আশীর্বাদ করে বলতেন, বেঁচে থাকো বাছা তোমার সোনার দোয়াত – কলম হোক।’
৪৩। ‘সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ’- অর্থ লেখো।
উত্তরঃ এর অর্থ হল- সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র
সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।
৪৪। অষ্টাদশ শতকে চারখণ্ড রামায়ণ কপি করে একজন লেখক কী কী পেতেন?
উত্তরঃ নগদ সাত টাকা, কিছু কাপড় আর মিঠাই।
৪৫। টাইপ-রাইটারে লিখেছেন এমন দু’জন লেখকের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় এবং অন্নদাশঙ্কর রায়।
৪৬। নিবের কলম কীভাবে ঘাতকের ভূমিকা নিয়েছিল?
উত্তরঃ স্বনামধন্য বাঙালি লেখক ত্রৈলোক্যনাথ
মুখোপাধ্যায়ের কলম অসাবধানতাবশত বুকে ফুটে
গিয়েছিল এবং সেই আঘাতের ফলেই নাকি তাঁর
মৃত্যু হয়েছিল।
৪৭। ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত দামি কলমটির দাম কত?
উত্তরঃ আড়াই হাজার পাউন্ড।
৪৮। ‘আমি যেখানে কাজ করি– লেখক কোথায় কাজ করতেন ?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার লেখক একটি লেখালেখির অফিস তথা সংবাদপত্রের অফিসে সাংবাদিকতার কাজ করতেন।
৪৯।´কেউ কেউ অবশ্য চুলেও কলম ধারণ করেন।’ – এই প্রসঙ্গে শ্রীপান্থ কী উদাহরণ দিয়েছেন ?
উত্তরঃ আলোচ্য প্রসঙ্গে শ্রীপান্থ উদাহরণ দিয়েছেন, ভিড় ট্রাম বা বাস থেকে নামার সময় দেখা যায়, কোনো কোনো মহিলা যাত্রীর খোঁপায় কলম গোঁজা রয়েছে।
৫০। “কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।”— অস্পৃশ্য কেন?
উত্তরঃ কলম অতি সস্তা এবং সর্বভোগ্য হওয়ার ফলে পকেটমারও এখন কলম চুরি করে না। তাই বলা হয়েছে তাদের কাছে কলম অস্পৃশ্য।
৫১। ‘মোগল দরবারে একদিন তাঁদের কত না খাতির কত না সম্মান।’ এখানে ‘তাঁদের’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে ‘তাঁদের’ বলতে ‘ক্যালিগ্রাফিস্ট’ বা লিপিকুশলী ওস্তাদ কলমবাজদের কথা বলা হয়েছে।
৫২। ‘যার পোশাকি নাম স্টাইলাস’—’স্টাইলাস ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে – ব্রোঞ্জের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন, তার পোশাকি নাম ছিল ‘ স্টাইলাস’।
৫৩।’তখন মনে কষ্ট হয় বই কী!’ – কখন মনে কষ্ট হয় ?
উত্তরঃ হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে লেখকদের প্রথম লেখালেখির সূত্রপাত ঘটেছিল বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতায়। কিন্তু পরে সে – সমস্তই কালের নিয়মে হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হলে তাঁর মনে এমন অনুভূতি হয়েছিল।
৫৪। ‘এই দেখো । নিব ঠিক আছে।’ কোন্ ঘটনায় বক্তা এরুপ বলেছিলেন ?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে এক দোকানি লেখককে একটি জাপানি পাইলট কলম দেখিয়ে আচমকা খাপ সরিয়ে সেটি ছুড়ে দিয়েছিলেন টেবিলের এক পাশে দাঁড় করানো একটি কাঠের বোর্ডের ওপর। তারপর অক্ষত কলমটি বোর্ড থেকে খুলে নিয়ে তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন।
৫৫। কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব কীভাবে ঘটেছে ?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখক
বলেছেন কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটেছে ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারের ফলে।
৫৬। ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি করে রাখা কালির কী কী নাম পেয়েছন?
উত্তরঃ ’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে দোয়াতে এবং বোতলে তৈরি করে রাখা কালির কাজল কালি, সুলেখা ইত্যাদি নাম পেয়েছেন।
৫৭। “ক্রমে হঠিয়ে দেওয়া হলো দোয়াত আর কলমকে।” কীভাবে হঠিয়ে দেওয়া হল ?
উত্তরঃ ফাউন্টেন পেনের সস্তা, দামি, উন্নত নানা ধরনের সম্ভার বাজারে আসার ফলে দোয়াত এবং কলম ক্রমশ বাজার থেকে হটে গেল।
৫৮। ” না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত । ” —কী প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন ?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় দোয়াতের বৈচিত্র্য প্রসঙ্গে লেখক এ কথা বলেছেন।
৫৯। সোনার দোয়াত কলম যে সত্যিই হতো, তা লেখক কীভাবে জেনেছিলেন?
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা থেকে জানা যায়, সোনার দোয়াতকলম যে সত্যিই হত তা লেখক
জেনেছিলেন সুভো ঠাকুরের দোয়াতের সংগ্রহ দেখে।
৬০। ‘ছেলেবেলায় একজন দারোগাবাবুকে দেখেছিলাম’- সেই দারোগাবাবুর বিশেষত্ব কী ছিল?
উত্তরঃ সেই দারোগাবাবুর কলম ছিল পায়ের মোজায় গোঁজা।
৬১। দার্শনিক কোথায় কলম গুঁজে রাখেন?
উত্তরঃ দার্শনিক কানে কলম গুঁজে রাখেন।
৬২। কোন সাহিত্যিক শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন?
উত্তরঃ সত্যজিৎ রায় শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
৬৩। ফাউন্টেন পেনের কোন অনুষঙ্গের নামে যুদ্ধের গন্ধ পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ব্যারেল, কার্টিজ ইত্যাদি শব্দে।
৬৪। উনিশ শতকে বারো আনায় কত অক্ষর লেখানো যেত?
উত্তরঃ উনিশ শতকে বারো আনায় বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানো যেত।
হারিয়ে যাওয়া কালিকলম MCQ👈