১। ‘সব দিক থেকেই একরকম।’- কোন্ বিষয়ে একরকম?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃত ও ইসাব হোলির দিনে যে নতুন জামাগুলি
পরেছিল সেগুলির রঙ, ছাপ ও কাপড় একরকম ছিল।
২। ‘তফাত শুধু এই যে’- কী তফাত?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের বাবা-মা এবং তিন ভাই ছিল কিন্তু ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউ ছিল না।
৩। ‘মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল’ – কী বলে বুঝিয়েছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের মা অমৃতকে বুঝিয়েছিল যে ইসাবকে ক্ষেতে কাজ করতে হয় বলে তার জামা ছিঁড়ে গেছে কিন্তু অমৃতের জামাটা প্রায় নতুনের মতো আছে।
৪। “অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।”– ‘এতেও’ বলতে কোন ঘটনাকে নির্দেশ করেছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে নতুন জামা দেওয়ার আগে ইসাবের বাবা তাকে খুব মেরেছিলেন। অমৃতও সেই রকম মার খেতে পারে, মায়ের এই প্রশ্নে অমৃত ভয় পায়নি, পিছপা হয়নি।
৫। “অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল”, – অমৃত কী ‘ফতোয়া’ জারি করেছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
অমৃতের ফতোয়াটি ছিল – ঠিক ইসাবের মতো জামা না- পেলে অমৃত স্কুলে যাবে না।
৬। ‘ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিল’ – কেন এমন করেছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের মতো জামা না পেয়ে অমৃত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।
৭। ‘ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল।’ -কী কারণে তার
মেজাজ চড়ে ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে কালিয়া একপ্রকার জোর করেই অমৃতের সঙ্গে কুস্তি শুরু করে দিয়েছিল। তাই তার মেজাজ চড়ে গিয়েছিল।
৮। “এসো, আমরা কুস্তি লড়ি।” – কে, কাকে বলেছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে ধুলো ছোড়াছুড়ি করে খেলা গাঁয়ের ছেলের দলের মধ্য থেকে একজন এসে হাত দিয়ে অমৃতের গলা জড়িয়ে ধরে তাকে ওই কথা বলেছিল।
৯। “ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল,” – আনন্দের কারণ কী ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
কুস্তি লড়ার আহ্বান জানিয়ে কালিয়া অমৃতকে ছুঁড়ে মাটিতে ফেলে দিয়েছিল। এই দৃশ্য দেখে ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৯। ‘অদল বদল’ গল্পটি কোন সময় ও দিনের কথা দিয়ে শুরু হয়েছে?
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পটি হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেলের কথা দিয়ে শুরু হয়েছে।
১০। কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে।’ – কেন এই উক্তি?
উত্তরঃ ইসাবের ছেঁড়া জামা দেখে তার বাবা তাকে মারলে বাঁচাবার মতো কেউ নেই। কিন্তু অমৃত জানতো যে তার বাবা তাকে মারলে মা গিয়ে তাকে বাঁচাবে।
১১। ‘ছেলেরাও কী ঘটেছে জেনে চ্যাঁচাতে লাগল।’- কী বলে ছেলেরা চ্যাঁচাচ্ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
ছেলেরা ‘অদল-বদল অদল-বদল’ বলে চ্যাঁচাচ্ছিল।
১২। কোন্ ঘটনার জন্য ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা অমৃত ও ইসাবের জামা অদল-বদলের ঘটনার সাক্ষী ছিল। সেইজন্য সে অমৃতকে জড়িয়ে ধরেছিল।
১৩। ‘অদল বদল’ গল্পটি কে বাংলায় তরজমা করেছেন?
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পটি বাংলায় তরজমা করেছেন অৰ্ঘ্যকুসুম দত্তগুপ্ত৷
১৪। “কিছুটা যেতেই অমৃতের নজরে এল” – অমৃতের কী নজরে এল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে কিছুটা যেতেই অমৃতের নজরে এল যে ইসাবের জামার পকেট এবং ছ-ইঞ্চি কাপড় ছিঁড়ে গেছে।
১৫। ইসাবের জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে অমৃতের হেনস্থার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইসাব কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়েছিল, তার ফলে জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল।
১৬। “পাঠানের গল্প শোনার জন্য ঘিরে দাঁড়াল।” – কারা ঘিরে দাঁড়াল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে পাঠানের গল্প শোনার জন্য পাড়াপড়শী মায়ের দল ঘিরে দাঁড়াল।
১৭। ‘অমৃতের জবাব আমাকে বদলে দিয়েছে।’- কোন জবাব?
উত্তরঃ ইসাবের প্রশ্নের উত্তরে অমৃত জানিয়ে ছিল যে তার বাড়িতে মা আছে এবং তার বাবা তাকে মারতে এলে মা গিয়ে বাঁচাবে। এখানে এই জবাবের কথা বলা হয়েছে।
১৮। ‘গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেল।’ – কে কোন্ গল্প বলেছিল?
উত্তরঃ ইসাবের বাবা ইসাব ও অমৃতের জামা অদল-বদলের গল্প বলেছিল।
১৯। “ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।” – ওরা কী কারণে ভয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তরঃ কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের নতুন জামার পকেট এবং ছ-ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল। ইসাবের বাবা এটা দেখতে পেলে কী করবেন সেই ভয়ে অমৃত ও ইসাব কাঠ হয়ে গিয়েছিল।
২০। “তিনি ওদের ডাকলেন,” – তিনি কে এবং ডেকে কী করেছিলেন?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে তিনি হলেন ইসাবের বাবা পাঠান। তিনি ইসাব ও অমৃত বন্ধুদের কাছ থেকে কেন পালিয়ে আসছে তা জানতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি অমৃতকে জড়িয়ে ধরে তার উদারতার প্রশংসা করেছিলেন।
২১। ‘উনি ঘোষণা করলেন’- কী ঘোষণা করেছিলেন?
অথবা, ‘অদল-বদলের গল্প’ গ্রাম প্রধানের কানে গেলে তিনি কী ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
উনি অর্থাৎ গ্রাম প্রধান ঘোষণা করেছিলেন যে, অমৃতকে অদল এবং ইসাবকে বদল বলে ডাকা হবে।
২২। “সজল চোখে পাঠান বললেন, কী খাঁটি কথা!”– এখানে কোন খাঁটি কথার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
উত্তরঃ জামা বদল করার জন্য অমৃতের বাবা তাঁকে মারতে পারে। ইসাবের এই কথার জবাবে অমৃত ভয় না পেয়ে বলেছিল যে, তার মা তাঁকে বাঁচাবে। অমৃতের বন্ধুর জন্য এই আত্মত্যাগ ভাবনাকেই পাঠান ‘খাঁটি কথা’ বলেছেন।
২৩। “… তা দুজনকে কী করে সামলাবেন?”- এখানে কোন দুজনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে দুজন বলতে অমৃত এবং ইসাবের কথা বলা হয়েছে।
২৪। ‘এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছে’- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে কালিয়া ও ইসাবের কুস্তির কথা বলা হয়েছে।
২৫। ‘হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল’-
বুদ্ধিটা কীরকম ছিল?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
অমৃত ইসাবের ছেঁড়া জামাটা পরে নিজেরটা ইসাবকে দিয়েছিল। এটাই হল তার বুদ্ধি।
২৬। অমৃতের মা ছেঁড়া জামা দেখে কী করেছিলেন ?
উত্তরঃ হোলিতে বাচ্চাদের ধস্তাধস্তি স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই ছেঁড়া জামা দেখে অমৃতের মা ভুরু কোঁচকালেও কিছু না বলে সুঁচসুতো দিয়ে জামাটি রিফু করে দিয়েছিলেন।
২৭। ‘ওঁর শান্ত গলা শুনে ওদের চিন্তা হল,’— বিষয়টি প্রশ্ন পরিস্ফুট করো।
উত্তরঃ কড়া ধাতের মানুষ ইসাবের বাবার আদুরে ডাক শুনে ইসাব ও অমৃত সেটাকে ভালোবাসার অভিনয় বলে মনে করেছিল।
২৮। ‘উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন !’- কেন উদ্দিষ্ট ব্যক্তি এমন করেছিলেন ?
উত্তরঃ ইসাবকে বাবার হাতের মার খাওয়া থেকে
বাঁচানোর তাগিদে অমৃত, ইসাবের জামা বদলে দিয়েছিল। আড়াল থেকে তা দেখে ইসাবের বাবা দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। তাই তিনি অমৃতকে জড়িয়ে ধরেন।
২৯। ‘ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কাকে বলে’- খাঁটি জিনিস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাবা ’খাঁটি জিনিস’ বলতে অমৃতের ইসাবের প্রতি অকৃত্রিম বন্ধুপ্রীতিকে ইঙ্গিত করেছেন।
৩০। ‘গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেল’ – কোন্ গল্প শুনে বুক ভরে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের ‘অদল বদল’ গল্পে ইসাবের বাবা পাঠানের মুখ থেকে অমৃত ও ইসাবের পারস্পরিক ভালোবাসা ও বন্ধুপ্রীতির গল্প শুনে পাড়াপড়শি সকলের বুক ভরে গিয়েছিল।
৩১। ‘তোরা দুজনে কুস্তি কর তো,’ – এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তরঃ অমৃত ও ইসাবের একইরকম জামা দেখে
একটি ছেলে তারা শক্তির দিক থেকেও একই কিনা তা দেখতে তাদের কুস্তি করতে বলেছিল।
৩২। ‘অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।’ – এতেও
বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে
ইসাবের মতো জামা পাওয়ার জন্য অমৃত বাবার হাতে মার খেতেও রাজি ছিল। ‘এতেও’ বলতে উক্ত প্রসঙ্গকে বোঝানো হয়েছে।
৩৩। ‘আমি কুস্তি লড়তে চাই না,’ – এ কথা বলার কারণ কী ছিল ?
উত্তরঃ পান্নালাল প্যাটেলের লেখা ‘অদল বদল’ গল্পে কুস্তি লড়লে অমৃতের নতুন জামা নষ্ট হয়ে যেত। তা ছাড়া ইসাব ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু । তাই সে কুস্তি লড়তে চায়নি।